এখন শীতকাল। রাস্তা-ঘাট সব কিছুই শুকনো। গত দুই মাস ধরে বৃষ্টির দেখা না মিললেও নেত্রকোনার কলমাকান্দা সদরের উপজেলা মোড় এলাকায় দেখে যেন মনে হবে কিছুক্ষণ আগে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সড়কের এক পাশে থাকা নালা (ড্রেন) উপচে ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সড়ক সয়লাব হয়ে আছে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত একমাস ধরে সড়কে ১০০ গজ অংশে এ অবস্থা হলেও এখনো কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে কলমাকান্দা উপজেলা মোড় থেকে কলমাকান্দা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ফটক পর্যন্ত সড়কের দক্ষিণ পাশে নানা নির্মাণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে নন মিউনিসিপাল প্রকল্পের আওতায় এই নালার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে নালার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় তা উপচে এখন দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি বের হচ্ছে সড়কে। গত এক মাস ধরে সদরের প্রধান এই সড়কটির নিচু ১০০ গজ অংশে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চলাচলকারীরা। পানির দুর্গন্ধে সড়কের দুই পাশে থাকা বাসাবাড়ির লোকজন ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশে বাসাবাড়ি, দোকানপাট ছাড়াও তিনটি ব্যাংক, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তাছাড়া ময়লাযুক্ত পানি পেড়িয়ে যেতে হয় উপজেলা পরিষদ, ইউএনও কার্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, ও কলমাকান্দা মডেল মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায়।
উপজেলা মোড় এলাকার ব্যবসায়ী অনিক সাহা বলেন, সবসময় ড্রেনের পানিতে সড়কটি তলিয়ে থাকায় ময়লা পানির দুর্গন্ধ হয়েছে, নাক চেপেও টিকে থাকা দায়। ময়লা পানিতে সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় দোকানে লোকজন কম আসে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
কলমাকান্দা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফরোজা বেগম জানায়, এই ময়লা পানি পেড়িয়ে প্রতিদিন আমাদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ড্রেনটির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বেশ কিছু দিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে বৃষ্টি ছাড়াই ড্রেনের ময়লা পানিতে রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ তলিয়ে থাকে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফখরুল আলম খসরু বলেন, এখন বৃষ্টিবাদল নেই। এরপরও এই মোড়ে জলাবদ্ধতা লেগে আছে। ড্রেন উপচে পানি পড়ে মোড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে বারবার অবহিত করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে হলে মুসল্লিদের কোনো কোনো সময় পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পানি জমে থাকে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম ও উপজেলা প্রকৌশলী শুভ্রদেব চক্রবর্তী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
Leave a Reply