রীনা হায়াৎ: টানা দুই মাস বৃষ্টি না থাকায় নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুরসহ ডোবা শুকিয়ে গেছে। ফলে বোরো আবাদি ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।
আবাদি জমির সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে এবং নদী-নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। ফলে এ উপজেলার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইরিব্লকের টিউবওয়েলের পানি না উঠায় সংশ্লিষ্ট সকল আবাদি জমির সেচ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি অনাবৃষ্টিতে মাটির রস কমে যাওয়ায় আমের মুকুল ঝরে পড়ছে। এ ছাড়াও বোরো ধানের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল ও সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকেরা পড়ছেন বিপাকে পরেছেন এ উপজেলা কৃষকরা।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের বাসাউড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক প্রদীপ সাহা ও সবিনয় রায় বলেন, নদীর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং বাড়ীর পাশে খাল-পুকুর সব শুকিয়ে যাওয়ায় মহা বিপদে আছি। বৃষ্টি হলে জমিগুলো প্রাণ ফিরে পেতো।
কৃষক আলাল মিয়া বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় ফসলের ক্ষেতে টিউবওয়েল স্থাপন করে পানি তুলে সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে অনেক সমস্যায় পড়ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফারুক বলেন, আবাদি জমি সংলগ্ন এলাকা। এখানে পানির সাথে খাল-বিল, পুকুর-ডোবার পানির স্তরের কম মিল আছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সেচ প্রকল্পও ব্যাহত হচ্ছে।
Leave a Reply