কলমাকান্দা.কম ডেস্ক : চর্ম রোগের সমস্যা নিয়ে রহিমা আক্তার (১৩) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পল্লী চিকিৎসকের কাছে যায় তার পরিবার। পরে চিকিৎসক পর পর ছয়টি ইনজেকশন দেন তাকে। ইনজেকশন দেওয়ার পরেই রহিমার শরীর ফুলে যেতে শুরু করে। অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় কলামাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নেত্রকোনার কলমাকান্দার খারনৈ ইউনিয়নের বাউসাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রহিমা আক্তার উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক আবুল হাসেম উপজেলার বাউসাম গ্রামের বাসিন্দা। বাউসাম বাজারে তার একটি ফার্মেসি রয়েছে।
রহিমার দাদী ফাতেমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, রহিমার সারা শরীরে চুলকানি ও ছোট গোটা গোটা দেখা দেয়। তাই তাকে নিয়ে দুই মাস আগে আবুল হাসেমের চেম্বারে যাই। বিভিন্ন ট্যাবলেট দিলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে সে জানায় পুরোপুরি সুস্থ হতে ইনজেকশন দিতে হবে। তার কথা মতো ছয়টি ইনজেকশন দিলে রহিমার শরীর ফুলে উঠতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখন সে কিছুটা সুস্থ।
অভিযুক্ত আবুল হাসেম ভুল চিকিৎসার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের রোগের চিকিৎসার এখতিয়ার আমার নেই। এই চিকিৎিসা আসলে আমার করা ঠিক হয়নি। তারপরও রহিমাদের পুরো পরিবার ২০ বছর ধরে আমার কাছে চিকিৎসা নেয়। এলাকার জটিল কোনো রোগী আমার কাছে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপতালে রেফার্ড করি।
এ বিষয়ে কলমাকান্দার মানবিকাধিকার কর্মী কাজল তালুকদার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে তদন্ত করে দায়ী পল্লী চিকিৎসকদের আইনের আওতায় আনারন জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় কলামাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, একজন পল্লী চিকিৎসকের চর্ম রোগের চিকিৎসার এখতিয়ার নেই। ওই শিক্ষার্থীকে যে ধরনের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে এ ধরনের হাই সেনসেটিভ ইনজেকশন তিনি দিতে পারেন না। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply