1. kalmakandanews@gmail.com : kalmakanda :
  2. info@kalmakanda.com : কলমাকান্দা.কম :
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
*** কলমাকান্দা উপজেলার সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন- www.kalmakanda.com ***

কলমাকান্দায় ৬০ করাতকলের লাইসেন্স নেই

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৯ বার দেখা হয়েছে

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার আট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৭২টি করাতকল রয়েছে। তার মধ্যে ৬০টির নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। সংরক্ষিত বনের দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এক ডজন করাতকলের অবস্থান। অবৈধ এসব করাতকলে বনের গাছ চেরাই করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাইরে পাচার করছে।

অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করছেন। শুধু তাই নয়, সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনন্ত ১৫টি করাতকল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠেছে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা সদর, লেংগুরা, নাজিরপুর, পোগলা, কৈলাটী, খারনৈ, বড়খাপন ও রংছাতিতে সব মিলিয়ে করাতকল রয়েছে ৭২টি। তার মধ্যে লাইসেন্স আছে ১২টির। বাকি ৬০টি করাতকলে কোনো লাইসেন্স নেই। করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান এবং জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। তাছাড়া সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যেও করাতকল স্থাপনের নিয়ম নেই। অথচ এই নিদের্শনা না মেনে বিধি-বহির্ভূতভাবে যত্রতত্র বসানো হয়েছে করাতকল।

সম্প্রতি নাজিরপুর, লেংগুরা, খারনৈ, পোগলা এলাকায় গিয়ে ১৬টি করাতকল পাওয়া গেছে, যেগুলোর অবস্থান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটার থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে। নাজিরপুর পল্লি জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই সাতটি করাতকলের অবস্থান। করাতকলগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে গর্জন, আকাশমণি, গামারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক যন্ত্রচালিত করাতে গাছ চেরাই করছিলেন। কর্মরত শ্রমিক আবুল কালামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন এসব গাছ চেরাই করতে এখানে নিয়ে এসেছেন। তারা কেবল টাকার বিনিময়ে গাছগুলো চেরাই করছেন। এর বেশি কিছু তারা জানেন না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক লেংগুরা এলাকার করাতকলের মালিক বলেন, কয়েক বছর আগেই অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও অনুমোদন পাইনি। বন বিভাগের লোকজনকে মাস হিসেবে টাকা দিতে হচ্ছে।

মিল-মালিকদের থেকে মাসোহারা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই অবৈধ করাতকলগুলো উচ্ছেদ করার জন্য অভিযান চালানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কলমাকান্দার আরো খবর
© কলমাকান্দা.কম
Theme Customized By BreakingNews